বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

ঘন কুয়াশায় রাস্তায় চলাচলে সতর্ক হওয়া উচিত

শীতকাল মানেই কুয়াশার রাজত্ব। শীতের দিনে বিকাল নামতেই চারদিকে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে কুয়াশা। যার স্থায়িত্ব থাকে পরদিন সকাল অবধি। আর শৈত্যপ্রবাহ থাকলেতো সারাদিন আর সূর্যের দেখাই পাওয়া যায় না। শীতকালে মাঝে-মধ্যেই ঘন কুয়াশার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 

এই ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তা ভালো করে দেখা যায় না। যেহেতু কুয়াশার কারণে রাস্তা ঠিকমতো পরিষ্কার দেখা যায় না। তাই যানবাহনের চলাচল বিঘিœত হয়। দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। প্রতি বছরই ঘন কুয়াশার কারণে দেশে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির সাথে গাড়ির সংঘর্ষ, গাড়ির সাথে রোড ডিভাইভারের সংঘর্ষ, গাড়ির পথ হারিয়ে কোথায় উল্টে পড়া, পথচারীদের গাড়ি চাপা পড়াসহ অনেক ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পথচারী, যাত্রী ও গাড়িচালকদের রাস্তায় চলাচলের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

রাস্তা পার হওয়ার সময় পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। যদি কোথাও ফুটওভার ব্রিজ না থাকে তাহলে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে। যেহেতু কুয়াশার কারণে রাস্তার কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না তাই রাস্তার দুই দিক ভালো করে দেখে রাস্তা পার হতে হবে। রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটা হতে বিরত থাকা উচিত। কোনো সময় হাঁটলে আশেপাশে গাড়ির উপস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে সতর্কতার সাথে রাস্তার একপাশ দিয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটা। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার কাছে কিংবা দূরের কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। তাই গাড়ি চালকদেরও সতর্কতার সাথে গাড়ি চালাতে হবে। কোথাও অযথা গাড়ি পার্কিং করা হতে বিরত থাকতে হবে। যেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে সেখানে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হবে ও হর্ণ বাজিয়ে রাস্তার পাশের মানুষদেরকে গাড়ির উপস্থিতি জানান দিতে হবে। রেললাইন পার হওয়ার সময় পথচারীদের ডান-বাম ভালো করে দেখে, ট্রেন আসছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে রেললাইন পার হতে হবে। রেললাইনে হাঁটা হতে বিরত থাকতে হবে। যখন কুয়াশার আধিক্য থাকে তখন দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান সাধারণ মানুষদের এড়িয়ে চলা উচিত।

-হাসনাত জাহান সিফাত, ফাজিলপুর ওয়ালিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, ফেনী সদর।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ